রক্তচাপঃ রক্তপ্রবাহের সময় ধমনির গায়ে যে চাপ সৃষ্টি হয় ,তাকে রক্তচাপ বলে।
পরিণত বয়সে একজন মানুষের আর্দশ রক্তচাপ ১২০/৮০ মিলিমিটারের কাছাকাছি ।
রক্তচাপ দুই প্রকার । যথাঃ ১ । উচ্চ রক্তচাপ
২ । নিম্ন রক্তচাপ
বা আর্দশ মানের চেয়ে বেশি হলে তাকে ও উচ্চ রক্তচাপ বলে ।
নিম্ন রক্তচাপ (Diastolic): মানুষের রক্তপ্রবাহের সময় ধমনির গায়ে কম চাপ হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে।
বা আর্দশ মানের চেয়ে কম হলে তাকে ও নিম্ন রক্তচাপ বলে ।
- উচ্চ রক্তচাপের কারণঃ
উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ অতিরিক্ত টেনসন এবং বেশি লবণ খাওয়া ।
১ । অতিরিক্ত টেনসন
২ । বেশি লবণ খাওয়া
৩ । বেশি কাজের চাপ
৪ । গর্ভধারণের সময় রক্তচাপ বাড়তে পারে
৫ । বেশি শব্দ হওয়ার কারণে
- উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণঃ
১ । মাথাব্যাথা , বিশেষ করে মাথার পিছনে ব্যাথা
২ । ঘাড় ব্যাথা
৩ । বুক ধড়ফড় করা
৪ । দুর্বল বোধ করা
৫ । অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে
- উচ্চ রক্তচাপের প্রতিকারঃ
১ । পটাশিয়াম ,ক্যালসিয়াম ,ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে ।
২ । চর্বিবিহীন দুধ ,দই ,দুধজাত খাবার ইত্যাদি খাওয়া কারণ এটি ক্যালসিয়ামের উৎস । তাজা ফল যেমনঃ আপেল ,কলা ,শাকসবজিতে পটাশিয়াম রয়েছে । টমেটোতে ও পটাশিয়াম পাওয়া যায় ।বেশি ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় দানা শস্যে যেমনঃ ছোলা ,শিমের বিচি ,বাদাম ,লাল চালের ভাত , লাল আটা ,আলু ,টমেটো ,সবুজ শাকসবজি , তরমুজ ,ডাল ,দুধএবং দই ইত্যাদি ।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের উপায়ঃ
১ । চর্বিবিহীন দুধ ,দই ,দুধজাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে । অর্থাৎ এক গ্লাস দুধ বা এক কাপ দই ।
২। টুকরো টুকরো কাটা আধা কাপ ফল কিংবা পুরো ফল খাওয়া ভালো
৩ । শাকসবজি কাচাঁ বা আধা কাপ রান্না করা শাক খেতে হবে ।
৪ । এক স্লাইস রুটি বা এক কাপ ভাত খাওয়া যায় ।
- নিম্ন রক্তচাপের কারণঃ
১ । দূশ্চিতা
২। অতিরিক্ত পরিশ্রম
৩ । শরীরে পানি শূন্যতা
৪। অপর্যাপ্ত ঘুম
৫। ডায়রিয়া
৬ । রক্তপাত বা রক্ত পরা
৭ । অপুষ্টি
৮ ।বদহজম
৯। রক্তশূন্যতা
১০। গর্ভধারণের সময় রক্তচাপ কমতে পারে
- নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণঃ
১ । বমি বমি ভাব
২। মাথা ঘুরানো
৩। অনেক সময় রক্ত বমি ও হতে পারে
৪ । মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে পরা
৫ । চোখে অন্ধকার বা ঝাপসা দেখা
৬। বসা বা শুয়া উঠলে মাথা ঘুরানো বা ভারসাম্যহীন হয়ে পরা
৭। হাত পা ঠান্ডা হয়ে পরা
৮। বুক ধড়ফড় করা
৯। প্রসাব কম হওয়া
১০। ঘনঘন শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া
১১। অতিরিক্ত পিপাসা অনুভব করা
- নিম্ন রক্তচাপের প্রতিকারঃ
১। খাবার স্যালাইন পান করা
২। লবণ জাতীয় খাবার খাওয়া
৩। পুদিনা পাতা খাওয়া
৪। কফি পান করা
৫। কিশমিশ খাওয়া
৬। গ্লকোজ জাতীয় খাবার খাওয়া
৭। ডিম ও দুধ খাওয়া
৮। তাজা শাকসবজি খাওয়া
No comments:
New comments are not allowed.